গত ২৯ শে অক্টোবর,২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ- মঙ্গলবার, সাধু পৌলের ধর্মপল্লী, কাটাডাঙ্গার অন্তর্গত ৪টি গ্রামে গির্জার উদ্বোধন ও আশির্বাদ করা হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও,ডি.ডি ও বরিশাল ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও উপস্থিত ছিলেন। উক্ত গ্রামগুলি হলো: ১. খাড়িপাহাড় ( সাধু যোসেফের গির্জা) ২. তেতুলিয়া, (সাধ্বী তেরেজার গির্জা) ৩. সাতচালা ( সাধু পিতরের গির্জা), ৪. মাখলারহাট (ধন্য যোসেফ সেবুলার গির্জা)।

দিনব্যাপি এই কর্মসূচিতে প্রথমেই খাড়িপাহাড় গ্রামে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপদ্বয়কে, পার্শ্ববর্তী ধর্মপল্লী থেকে আগত পুরোহিতদের ও ডিকনকে সান্তাল কৃষ্টি অনুসারে বরণ করে নেয়া হয়। এরপর গির্জার শুভ উদ্বোধন ও আশির্বাদ করা হয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও তাঁর উপদেশে বলেন, এই গির্জার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই। যারা এই গির্জা নির্মাণে অর্থ সাহায্য দিয়েছেন বিশেষ করে খ্রিস্টান কল্যান ট্রাস্ট, ফা:রঞ্জিত কস্তা, ওএমআই এবং ফা: অজিত কস্তা,ওএমআই এর পরিবারের সদস্যগণ এবং অবলেটদের উপকারী বন্ধুগণ এবং গ্রামের ভক্তজনগণ তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একটা সময় এই গির্জা মাটি, বাঁশ, কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু আজ তা ইট দিয়ে আরও টেকসই করে নির্মাণ করা হয়েছে। আর গির্জা হলো বিশ্বাসের চিহ্ন। আমি বিশ্বাস করি, সময়ের পরিক্রমায় আপনাদের বিশ্বাসও এমন পরিপক্ক ও দৃঢ় হয়ে উঠেছে। এই বিশ্বাস যেন দিনদিন আরও বৃদ্ধি পায়।

পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ ইম্মানুয়েলও তাঁর বক্তব্যে ভক্তজনগণকে বিশ্বাসে বলীয়ান হতে এবং সিনোডাল মণ্ডলি হিসেবে গড়ে উঠতে সবাইকে আহ্বান করেন। বেণীদুয়ার ধর্মপল্লীর পাল- পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফা: মাইকেল কোড়াইয়া তাঁর অতীত স্মৃতিচারণ করেন। শ্রদ্ধেয় ফাদার উক্ত গ্রামে আজ থেকে ২৫ বছর আগে দীক্ষা দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই মণ্ডলি গড়ে উঠেছে। এই মণ্ডলির বয়স প্রায় ২৫ বছর। তাই জুবিলী উপলক্ষ্যে পবিত্র খ্রিস্টযাগের সময় ২৫ টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। শ্রদ্ধেয় ফা: অজিত কস্তা,ওএমআই তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন, ঈশ্বর ও উপকারী বন্ধুদেরকে কৃতজ্ঞতা জানান।

খ্রিস্টযাগের পর দুপুরের আহারের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে একে একে তেতুলিয়া, সাতচালা ও মাখলারহাট গ্রামেও পর্যায়ক্রমে গির্জাগুলো আর্শিবাদ ও উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ২ জন বিশপ, ৪জন পুরোহিত, একজন পরিসেবক ও একজন সিস্টার ও একজন কাটেখিস্ট উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উক্ত গ্রামগুলির ভক্তজনগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

পরিশেষে, ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফা: রঞ্জিত কস্তা, ওএমআই সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং উক্ত গির্জাগুলির যত্ন নিতে ও যথার্থ এবং পবিত্রভাবে ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানান এবং উক্ত আর্শিবাদ অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজন করায় সবাইকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফা: প্লাবন রোজারিও, ওএমআই

Please follow and like us: