গত ১৩ থেকে ১৬ মে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ‘প্রভু নিবেদন ধর্মপল্লী’, সুরশুনিপাড়ায় “মঙ্গলবাণীর আনন্দে জাগি আমরা, জাগাই ওয়াইসিএস” শীর্ষক মূলসুরের উপর ভিত্তি করে ‘রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ১ম ওয়াইসিএস উৎসব ২০১৯’ আয়োজন করা হয়। এই আনন্দঘন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের প্রতিটি ধর্মপল্লী হতে ১৯০ জন ওয়াইসিএস সদস্য-সদস্যা, ১০ জন এনিমেটর, ৪ জন ফাদার, ৫ সিষ্টার, ১ জন রিজেন্ট এবং চ্যাপলেইন, সুডেন্ট লীডারসহ ২৩০ জন। এই উৎসবের শুরুতেই স্বাগতিক ধর্মপল্লীর ওয়াইসিএস-এর সদস্য-সদস্যারা মাহালী ও সান্তাল কৃষ্টিতে নাচ, গান, ফুলের পাপড়ি ছিটানো, অতিথিদেরকে পা ধোয়ানোর মাধ্যমে বরণ করে নেয়। উদ্বোধনী পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যাঞ্চেলর শ্রদ্ধেয় ফাদার উইলিয়াম মুরমু। এরপর বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী, জাতীয় পতাকা এবং ধর্মপ্রদেশীয় যুব কমিশন ও ওয়াইসিএস পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত ও ওয়াইসিএস সঙ্গীত, উদ্বোধনী নাচ এবং বক্তব্য’র মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার উইলিয়াম মুরমু। পরে দেয়ালিকা’র স্টল উদ্বোধন করা হয়। এরপর ‘ওয়াইসিএস-এর ধারণা, সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, কার্যাবলী, পদ্ধতি, এর প্রয়োজনীয়তা’ ‘সেলমিটিং পরিচালনা পদ্ধতি’ সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন জাতীয় যুবসমন্বয় কারী ও নির্বাহী সচিব শ্রদ্ধেয় ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরের, সিএসসি। ‘সেলমিটিং পরিচালনায় পবিত্র বাইবেল’ এবং ‘ওয়াইসিএস পরিচালনায় এনিমেটরের ভূমিকা’ সম্পর্কে উপস্থাপনা রাখেন যথাক্রমে ধর্মপ্রদেশীয় ওয়াইসিএস চ্যাপলেইন ফাদার রিংকু সিজার কস্তা এবং এনিমেটর জ্যোতি মুরর্মু। এছাড়াও আগামী এক বছরে ধর্মপল্লীতে ফিরে গিয়ে তারা কী কী কার্যক্রম করবে তার কর্মপরিকল্পনা ও গ্রহণ ও উপস্থাপনা করা হয়। সন্ধ্যায় সমাপনী পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার আন্তনী হাঁসদা। রাতে ধর্মপল্লী ভিক্তিক মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ এবং ধন্যবাদ মূলক বক্তব্যের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তী ঘোষণা করা হয়।
সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে ধর্মপ্রদেশীয় ওয়াইসিএস উৎসব উদযাপন
Please follow and like us: