যারা ঈশ্বরের সেবা করে তাদেরকে ঘিরে ঈশ্বর আনন্দ করেন। পবিত্র আত্মা আমাদের বিভিন্ন ধরণের দান দিয়ে থাকেন। আজকে যারা বেদীসেবক ও বাণীপাঠক সেবাদায়িত্ব লাভ করবে তাদেরকে ঈশ্বরই মনোনীত করেছেন। আর এই দায়িত্ব পবিত্র আত্মারই দান। ১৯ জানুয়ারী সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে ৬ জন বাণীপাঠক ও ৮জন বেদীসেবক সেবাদায়িত্ব প্রদান খ্রিস্টযাগে বিশপ জের্ভাস রোজারিও এই অভিমত প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, কাথলিক ভক্তবিশ্বাসীরা মা মারীয়ার মধ্যস্থতায় ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করেন। মা মারীয়া ঈশ্বরের আদেশ পালন করেছিলেন, তেমনি আজকের এই প্রার্থীগণও ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করেছেন। বাণীপাঠকগণের কাজ হচ্ছে ঈশ্বরের বাণীকে প্রচার করা। আর একজন বেদীসেবক যাজককে পবিত্র উপাসনায় বেদীতে সহায়তা করেন যেন যাজক আরো সুন্দর করে উপাসনানুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন। এই সেবা শুধুমাত্র যাজককে সেবা নয় বরং মণ্ডলীকে সেবা।

বাণীপাঠক ও বেদীসেবক দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা খ্রিস্টযাগে সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ যোসেফ কস্তা, সহকারী পাল পুরোহিত উত্তম রোজারিও, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় উপাসনা ও প্রার্থনা বিষয়ক কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন, রাজশাহী পালকীয় কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার সাগর কোড়াইয়া,  বিদায়ী ফাদার ব্লেইজ সুমিত কস্তা, ব্রাদার রন্জন পিউরীফিকেশন ও সিস্টারগণ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠান ও খ্রিস্টযাগকে কেন্দ্র করে ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্ত ও প্রার্থীদের মধ্যে গভীর আত্মিক আলোড়ন ও বাহ্যিক আনন্দ প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রার্থীগণ আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাপস্বীকার সংস্কার গ্রহণ করেন।

বেদীসেবার দায়িত্ব লাভকারী রমণী বেসরা অনুভূতি ব্যক্তি করতে গিয়ে বলেন, ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিভিন্নভাবে বাণীপ্রচারের কাজ করে যাচ্ছি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মণ্ডলীর নিকট থেকে বেদীতে সেবাদানের সুযোগ লাভ করায় আমি আনন্দিত। আর এই বেদীসেবাও একটি প্রচার। আগে নীরবে খ্রিস্টকে প্রচার করেছি তবে এখন থেকে প্রকাশ্যে প্রচার করতে পারবো। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেকে দায়িত্ব লাভ করার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলবেন।

সংবাদদাতা: জেরম অজয় মুর্মু

Please follow and like us: