বরেন্দ্রদূত সংবাদদাতা
মথুরাপুর ধর্মপল্লীর কাতুলী গ্রামে সাধু আন্তনীর পর্ব পালন করা হয়েছে। নয়দিনের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি নভেনার পর মহাসমারোহে এই পর্ব পালিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্বীয় খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন খুলনা ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল জেমস রমেন বৈরাগী। এছাড়াও পাল পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও, অন্যান্য ফাদার, সিস্টার এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী খ্রিস্টযাগের উপদেশে বলেন, আমাদের জীবনে নানা ধরণের ক্রুশ রয়েছে। আর আমরা যদি যিশুর অনুসারী হই তাহলে সে ক্রুশ নিয়ে যিশুকে অনুসরণ করবো। আজ সাধু আন্তনীর পর্ব পালন করছি, তিনিও যিশুকে অনুসরণ করেছেন। এছাড়াও বিশপ বলেন, সাধু আন্তনী যিশুর জীবনের সাথে যুক্ত ছিলেন। আমরা যিশুকে কতটুকু আমাদের জীবনে যুক্ত করি? সাধু আন্তনী যিশুর কথা প্রচার করেছেন, আমরাও যেন যিশুর কথা প্রচার করি। বর্তমান জগতে আমাদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যেন আমরা এই জুবিলী বর্ষে মন পরিবর্তন করে পাপস্বীকার সংস্কার লাভ করি। আমরা আজ কি নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো? সাধু আন্তনী তাঁর ভালাবাসা দেবার জন্য সদা প্রস্তুত।
পাল পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও বলেন, সাধু আন্তনী আমাদের প্রাণের সাধু। আমরা তাঁকে খুব ভালবাসি। তাই তাঁকে ভালবেসে এখানে এসেছি। সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় আমরা যেন ঈশ্বরের নিকট নিজেকে অর্পণ করি। ফাদার সবাইকে সব ধরণের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
খ্রিস্টযাগের শেষে পর্বীয় স্মরণিকা ‘অনুগ্রহে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও আন্তনী ভক্তগণ তাদের বিশ্বাসের মানত সাধু আন্তনীর নিকট অর্পণ করেন। কাতুলী গ্রামের সন্তান কানাডা প্রবাসী অ্যান্দ্রে পালমা কাতুলীতে মা মারীয়ার গ্রটো নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করেন। তিনি অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি কানাডা থেকে এই পর্ব পালনের জন্য এসেছি। সত্যি আমি অভিভূত আপনাদের সহযোগিতার জন্য। দিনে দিনে এই পর্বের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাক- এই কামনা করি।
কাতুলীর সন্তান কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাস্টিয়ান রোজারিও বলেন, খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করার জন্য বিশপ জেমস রমেন বৈরাগীকে অশেষ ধন্যবাদ। কাতুলীতে এই পর্ব পালনের মধ্য দিয়ে সাধু আন্তনী প্রকাশিত হয়েছেন বলে আমরা সৌভাগ্যবান।