বরেন্দ্রদূত সংবাদদাতা

সমগ্র বিশ্বের সাথে একাত্ম হয়ে ভক্তি এবং আনন্দময় পরিবেশে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের প্রত্যেকটি ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রভু যিশুর পুনরুত্থান পর্ব। চল্লিশদিনের উপবাস, প্রার্থনা ও দয়াদানের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টভক্তগণ তাদের আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক সাধনার পর ২০ এপ্রিল পুনরুত্থান উৎসব উদযাপিত হয়। এই বছর প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্মের দুই হাজার পঁচিশ বছরের জুবিলী জয়ন্তীতে পুনরুত্থান দিবসে ভিন্নতা লক্ষ্যণীয় ছিলো। প্রত্যেকটি গির্জায় পুণ্য সপ্তাহের প্রত্যেকটি খ্রিস্টযাগ ও প্রার্থনানুষ্ঠানে জুবিলীর মূলভাব “আশার তীর্থযাত্রী” বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও কাথিড্রাল ধর্মপল্লী বাগানপাড়াতে পুনরুত্থান রবিবারের খ্রিস্টযাগে উপদেশে বলেন, এই বছর আমরা যিশুর জন্মজয়ন্তী পালন করছি। অনেকেই দেশে এবং দেশের বাইরে ভাটিকানে পুণ্যতা ও পূর্ণতা লাভের জন্য তীর্থে যাচ্ছেন। তবে অন্তরে, আত্মায়, চিন্তা-চেতনা ও ধ্যানে-মননে পুনরুত্থিত যিশুর শুন্য কবরে তীর্থ করতে পারি। সবাইকে পুনরুত্থান পর্বের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশপ আরো বলেন, দেশ ও বিশ্বের সকল মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে থাকুক এই প্রার্থনা করি। বিশ্বের যেখানে যুদ্ধ-অশান্তি চলছে সেখানে পুনরুত্থিত খ্রিস্টের শান্তির বাণী বর্ষিত হোক।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের প্রত্যেকটি গির্জায় একসপ্তাহ পূর্বে তালপত্র রবিবার পালনের মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয়। পুনরুত্থান রবিবারের আগের তিনদিন খ্রিস্টানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনগুলো হচ্ছে পুণ্য বৃহস্পতিবার, গুড ফ্রাইডে বা পুণ্য শুক্রবার এবং পুণ্য শনিবার। এই তিনদিন খ্রিস্টভক্তরা প্রভু যিশুর শেষ ভোজ, ক্রুশীয় যন্ত্রণা, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের কথা ভক্তিভরে স্মরণ করে থাকেন।

বনপাড়া ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা বলেন, যিশুর পুনরুত্থান আমাদের জীবনের সীমাবদ্ধতা, পাপময়তা ও উচ্ছশৃঙ্খলতা থেকে পুনরুত্থান ঘটাতে আহ্বান জানায়। এছাড়াও যিশুর পুনরুত্থানের আনন্দ সংবাদ আমরা যেন অন্যের কাছে প্রচার করতে পারি।

Please follow and like us: