গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, দীর্ঘ তিন মাসব্যাপি ধর্মশিক্ষা ও আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর সাধু পিতরের ধর্মপল্লী মুশরইলে অনুষ্ঠিত হলো হস্তাপর্ণ সংস্কার। প্রবেশ সংস্কারের দ্বিতীয়টি হল হস্তাপর্ণ সংস্কার যার অর্থ হলো বলদায়ক বা শক্তিশালী করণ। হস্তাপর্ণ সংস্কারে আমাদের দীক্ষাস্নান ক্রিয়া বলশালী হয় বা পূর্ণতা লাভ করে। ধর্মপল্লীর তিনটি গ্রাম থেকে ৮৫ জন ছেলে-মেয়ে হস্তাপর্ণ সংস্কার গ্রহণ করে এবং এই হস্তাপর্ণ সংস্কার প্রদান করে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জেভার্স রোজারিও। খ্রিস্টযাগের উপদেশে হস্তাপর্ণ প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশপ মহোদয় বলেন, হস্তাপর্ণ সাক্রামেন্ত গ্রহন করার মধ্যদিয়ে মন্ডলী আমাদের আহ্বান করে আমরা যেন পবিত্র আত্নাকে আমাদের অন্তরে গ্রহন করি। আর আমরা যারা খ্রিস্টে দীক্ষিত আমরা প্রত্যেকেই খ্রিস্টের অঙ্গ-প্রতঙ্গ এবং আমরাই মন্ডলীর চিহ্ন। তিনি আরো বলেন, এই হস্তাপর্ণ সংস্কার গ্রহন করার মধ্য দিয়ে আমরা পবিত্র আত্নাকে লাভ করি এবং একেক জন খ্রিস্টের সৈনিক হয়ে উঠি। এই পবিত্র আত্না আমাদের অন্তরে একটা সিলমহর একেদেয় আর এই সিলমহরের কারণে আমরা প্রত্যেকেই খ্রিস্টের সৈনিক হয়ে উঠব। এই সৈনিকের কাজ হবে শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, যাতে করে আমরা আমাদের জীবনে পূর্ণতা লাভ করতে পারি। এরই জন্য আজ তোমাদের হস্তাপর্ণ সংস্কার প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা যারা মন্ডলীর খ্রিস্টভক্ত আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য প্রার্থনা করা, যাতে করে তারা যেন পবিত্র থেকে খ্রিস্টের ন্যায় জীবন যাপন করতে পারে।

Please follow and like us: